ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: শান্তনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২১
ত্রিপুরায় বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: শান্তনা বক্তব্য রাখছেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা

আগরতলা (ত্রিপুরা): ‘গত কদিনে ত্রিপুরা রাজ্যের দুই থেকে তিনটি জায়গায় হঠাৎ একসঙ্গে একাধিক হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা সত্যি, তবে তা বার্ড ফ্লুর জন্য মৃত্যু হয়নি।

’ 

শনিবার (৯ জানুয়ারি) আগরতলার রবীন্দ্র পল্লী এলাকার সরকারি আবাসে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা।  

তিনি বলেন, রাজ্যে এখনও বার্ড ফ্লুর কোনো খবর নেই। তাই অহেতুক চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। তবে দপ্তর বসে নেই। কর্মকর্তারা সতর্ক রয়েছে ও নিয়মিত বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করছেন।  

শান্তনা বলেন, রাজ্যের যেসব জায়গাতে একসঙ্গে একাধিক হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এসব মৃত প্রাণীর শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষাতে দেখা গেছে, কিছু ভাইরাসজনিত কারণে এ হাঁস-মুরগিগুলোর মৃত্যু হয়েছে। তবে তা বার্ড ফ্লুর জন্য নয়।

রাজ্যে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা না দিলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন খামারের মালিকদের সতর্ক করেছেন। যাতে বাইরের মানুষ খামারে প্রবেশ করতে না করে। যেসব মানুষ খামারে কাজ করবে তারা যেন খামারে প্রবেশ করার আগে নিজেদের ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে নেয়। রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য দপ্তরের তরফ থেকে কয়েকদিনের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হবে বলেও জানান শান্তনা। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, কোথাও কোনো ধরনের পাখি বা প্রাণীর সন্দেহজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে তারা যেন দ্রুত দপ্তরে খবর দেন। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য এদিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

রাজ্যের গোমতী জেলার উদয়পুর ও সিপাহীজলা জেলার বিশালগড়ে কিছু জায়গাতে একসঙ্গে বেশকিছু হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে। এর পর রাজ্যের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এ বলে যে, বার্ড ফ্লু সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাই বহু মানুষ হাঁস-মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জানুয়ার ০৯, ২০২১
এসসিএন/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।