ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

করোনার কারণে মৃতপ্রায় মৃৎশিল্পের বেহাল অবস্থা

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
করোনার কারণে মৃতপ্রায় মৃৎশিল্পের বেহাল অবস্থা করোনার কারণে মৃতপ্রায় মৃৎশিল্পের বেহাল অবস্থা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): কারখানায় তৈরি সামগ্রীর কারণে এখন মৃৎশিল্পের অবস্থা মৃতপ্রায়। এর মধ্যে করোনার কারণে প্রায় বন্ধ গ্রামীণ মেলা।

ফলে চরম দুরাবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।

নানা ধরনের ধাতব ও প্লাষ্টিকের তৈজসপত্রের জন্য মাটির তৈরি তৈজসপত্রের চাহিদা এখন একেবারে কম। এরপরও আনেক কুমার বংশ পরম্পরায় শেখা কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও মাটির তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে বর্তমান সময়ে পরিবার চালানো খুব কষ্টকর।

কুমাররা তৈজসপত্রের পাশাপাশি মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও গৃহসজ্জার সামগ্রী তৈরি করেন। কিন্তু এখন খেলনা শিল্পেও এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। প্লাস্টিকসহ কাপড়ের খেলনা বাজারে চলে এসেছে। ফলে মাটির তৈরি গৃহসজ্জার সামগ্রী এবং খেলনার চাহিদা অনেক কমে গিয়েছে।

তবে কুমাররা মাটির তৈরি খেলনায় অনেকটা পরিবর্তন এনেছেন। আগে যেখানে ছাঁচ দিয়ে তৈরি মাটির পুতুল দেখা যেত এখন সেখানে প্লাস্টিকের তৈরির খেলনার সঙ্গে পাল্ল দিয়ে মাটিরও সুন্দর সুন্দর খেলনা পাওয়া যায়, এরপরও মৃৎশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসেনি।

কুমাররা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মেলায় তাদের তৈরি করা সামগ্রী বিক্রি করেন। খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়াতে এখন চলছে মেলা। এখানে আসা মৃৎশিল্পীরা জানান এমনিতেই মাটির জিনিসের বিক্রি কম তার উপর করোনার কারণে মেলায় লোক আসছে না তাই বিক্রিও নেই।

করোনার কারণে মৃৎশিল্পীদের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ বেতের উপহারের পাশাপাশি মাটির তৈরি গৃহসজ্জার সামগ্রী সরকারি অনুষ্ঠানের উপহার হিসেবে দিতো তবে তাদের অবস্থা অনেকটাই ভালো হতো বলেও মত তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এসসিএন/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।