ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘যতদিন প্রাণ থাকবে, ততদিন মুজিবকে ভুলবো না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
‘যতদিন প্রাণ থাকবে, ততদিন মুজিবকে ভুলবো না’

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আবেগ। যতদিন আমার এ দেহে প্রাণ থাকবে ততদিন মুজিবকে ভুলবো না।

রোববার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’তে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অগ্নি নির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুজিত বোস, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ এবং বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শুভরঞ্জন দাসগুপ্ত।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘যৌবনে আমাদের স্লোগান ছিল ‘‘বিশ্বের আসবে নতুন দিন, ইন্দিরা-মুজিব আনবে সেদিন’’। কিশোরকালে আমাদের কাছে এ স্লোগান ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়। ফলে ভারতের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্মা একপ্রাণ বলেই আমরা মনে করি। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যারা পশ্চিমবাংলায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের বাংলাদেশের জন্য আলাদা আবেগ আছে। আর সেই আবেগ মুজিবুর রহমানের সময় থেকে কাজ করে। তার মৈত্রী ভাবনা, চেতনা, শাসন, সব কিছু আমাকে অনুপ্রাণিত করে। ’

‘আমরা যে ভাষায় কথা বলি, সেই ভাষা রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের জন্য। শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বঙ্গবন্ধুর দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়িত করছেন বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছেন তিনি। এ জন্যই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল,’ যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।

স্মৃতিচারণ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুকে একবারই খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম। কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তিনি যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন আর আমি মঞ্চের নিচে ছিলাম। ’

উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্ত্বায় পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকেরা বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল্যবোধ মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হলেও তার মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শের মৃত্যু হয়নি। বরং তার আদর্শ গ্রথিত রয়েছে বাংলার জনগণের হৃদয়ে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জাতির পিতার নাম বাংলাদেশের লাখো-কোটি বাঙালির হৃদয়ে চির অমলিন, চির অক্ষয় হয়ে থাকবে। ’

দিবসটি উপলক্ষে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান তার কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ করেন উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় উপ-হাইকমিশনের 'বঙ্গবন্ধু কর্ণার' পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
ভিএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।