ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পানের পিকে ক্ষয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজ

রক্তিম দাশ.ব্যুরো চিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২
পানের পিকে ক্ষয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজ

কলকাতা: শতাব্দীর প্রাচীন কলকাতার হাওড়া ব্রিজে বছরে পর বছর ধরে পান, পান মসলা ও তামাকের পিকে ক্ষয় ধরেছে। নিয়মিত পিক ফেলার ফলে এই ব্রিজটিকে ধরে রাখা ইস্পাতের থাম গুলোয় মরিচা পড়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে।

এই পিক ফেলা থামাতে না পারলে যেকোনো দিন ঘটে যেতে পারে বড় রকমের কোনো দুঘর্টনা। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ব্রিজটি ব্যবহারকারী যাত্রীদের এই পিক ফেলা থামাতে না পেরে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ এই থামগুলোকে ফাইবারের শীট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ(পোর্ট ট্রাস্ট) এর প্রধান প্রকৌশলী এ কে মেহেরা বাংলানিউজকে বলেন, এই বিষয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী দু-তিনমাসের মধ্যে আমাদের কাজ শুরু হবে। ব্রিজের থামগুলো ফাইবার দিয়ে সাড়ে ৩ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ঢেকে দেওয়া হবে। এর ফলে খুব সহজেই তা পরিষ্কার করা যাবে ও প্রয়োজনে বদল করা যাবে। এছাড়া ব্রিজের মূল কাঠামোই মরিচা ধরা রোদ করা যাবে।

বিট্রিশ আমলে তৈরি কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে হুগলী নদীর ওপর তৈরি ৬৯ বছরে প্রাচীন এই ব্রিজটির বর্তমান নাম রবীন্দ্র সেতু। প্রতিদিন এটি দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কয়েক হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে এ সেতু পার হন। এই যাতায়াতের সময় অসংখ্য মানুষ এর থামের গায়ে পিক ফেলেন। এছাড়া রাতে অনেক ভবঘুরে মানুষের স্থায়ী বসবাস এখানে। তারাও রোজই এর থামগুলো নোংরা করেন।

সম্পূর্ণ ইস্পাতের তৈরি এ ব্রিজটিতে মোট ৭৮টি থাম আছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইস্পাতের ওপর তামাক জাতীয় কিছু পড়লে তা খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

আক্ষেপ করে প্রধান প্রকৌশলী এ কে মেহেরা বলেন, মানুষ যদি তাদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে সচেতন না হন, তাহলে কী আর করা যাবে? আমরা ব্রিজের চারপাশে পোস্টার লাগিয়ে আবেদনও করেছি, তাতেও কাজ হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।