কলকাতা: কৃষকদের কাছ থেকে জমি নিয়ে, তাদের মধ্যেই একটা অংশকে সেই জমি ফিরিয়ে দেওয়া কি বৈষম্য নয়? সিঙ্গুর আপিল মামলায় রাজ্য সরকারকে এরকমই ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট. সোমবার থেকে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা জবাব দেওয়া শুরু করলেন।
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল মামলা করেছে টাটা মোটরস. টাটা মোটরসের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল এবং ভেন্ডরদের আইনজীবী এস কে কপূর বলার পর, সোমবার থেকে এই মামলায়
জবাব দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার।
বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ এবং মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্রকে ৬টি বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেন।
বিচারপতির প্রশ্নগুলি জানতে চান,একদল কৃষকের কাছ থেকে জমি নিয়ে, তাদের মধ্যেই একটা অংশকে সেই জমি ফিরিয়ে দেওয়া কি বৈষম্য নয়? অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য টাটার কাছ থেকে রাজ্য সরকারের জমি নিয়ে নেওয়াকে কি জনস্বার্থ বলা যায়?‘অধিগ্রহণ’ শব্দটির প্রকৃত ব্যাখ্যা কী?
তিনি আরো জানতে জান, টাটাদের কাছ থেকে জমি নেওয়াকে রাজ্য সরকার ‘অধিগ্রহণ’ বলতে রাজি নয়. তাহলে সিঙ্গুর আইন কেন প্রণয়ন করা হল? টাটা মোটরস এবং অনুসারী শিল্প সংস্থাগুলিকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে এভাবে কি জমি ফিরিয়ে নেওয়া যায়?
রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল ছাড়াও আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সরকারি আইনজীবী অশোককুমার ন্দ্যোপাধ্যায় জবাব দেবেন. সরকার পক্ষ জবাব দেওয়ার পর টাটা মোটরসের আইনজীবীরা প্রত্যুত্তর দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১২