ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় উপ-নির্বাচনে প্রচার জোরদার করেছে বামফ্রন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
ত্রিপুরায় উপ-নির্বাচনে প্রচার জোরদার করেছে বামফ্রন্ট

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের চারটি বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, প্রচারে ততো তেজি ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে পাল্লা দিয়ে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে প্রধান বিরোধী বামফ্রন্টসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো।

 

প্রচার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ৬নং আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী কৃষ্ণা মজুমদারের সমর্থনে এক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এদিনের এই কর্মসূচিতে প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) দলের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী পবিত্র কর।  

মিছিল শুরুর আগে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পবিত্র কর বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হওয়ার সাত দিন আগেও দাবি করেছিলেন যে ত্রিপুরায় ২০৪৭ সাল পর্যন্ত বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে এবং তিনিও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। কিন্তু এর এক সপ্তাহের মধ্যেই তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। তাদের দলের কাছে খবর ছিল যে জনগণের কোটি কোটি রুপি যা মানুষের কল্যাণে খরচ করার কথা ছিল, তা আত্মসাৎ করে রেখেছে। তাই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া।  

বিপ্লব কুমার দেবের যন্ত্রণায় রাজ্যবাসী অতিষ্ঠ ছিলেন দাবি করে পবিত্র কর বলেন, এখন সরে যাওয়ায় কিছুটা অব্যাহতি পেয়েছে মানুষ। তারা এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত মুক্তি চাইছেন। সাধারণ মানুষ বলছেন, তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা যেন নিশ্চিত করা হয়। কারণ তারা পৌর নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের জন্য।  

অপরদিকে প্রার্থী কৃষ্ণা মজুমদার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সুখে দুঃখে সবসময় বামফ্রন্ট মানুষের পাশে রয়েছে। ভোটাররা যেন বামফ্রন্ট প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে, তবে মানুষেরই কল্যাণ হবে। এদিন মিছিলে প্রচুর ভোটার সামিল হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।