ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বন্যা পরিস্থিতিতে আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
বন্যা পরিস্থিতিতে আশ্রয়শিবির ঘুরে দেখলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা (ত্রিপুরা): দুই দিনের ভারী বর্ষণে রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্ত মানুষ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়শিবিরে উঠতে বাধ্য হয়েছেন।

 

শনিবার (১৮ জুন) আগরতলার একাধিক আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা। তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা জানেন।  

পরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। প্রশাসন দুর্গত মানুষদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে। দুর্গত মানুষদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের পক্ষে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নৌকাগুলো দিয়ে বন্যা দুর্গত মানুষদের শিবিরে নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এখানে মানুষের হাত নেই। তারপরও প্রশাসন মানুষকে সহায়তার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি নিজে নিয়মিত কথাবার্তা বলছেন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন জরুরি ভিত্তিতে মানুষের অসুবিধার জন্য কি করা প্রয়োজন সেই মত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার জন্য পরবর্তী সময় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  

হাওড়া নদীর পানির স্থর বেড়ে ১০.৮৫ মিটারে পৌঁছে গেছে, যা বিপৎসীমার চাইতেও অনেকটা ওপরে। হাওড়া নদীর আশপাশ এলাকায় সকাল থেকে জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে। বটতলা এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধে ফাটল দেখা গেছে। ফলে আশেপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

প্রশাসনের তরফে হাওড়া নদীর আশপাশ এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর টিম রয়েছে, মানুষদের মাইকিং করে জানানো হচ্ছে কারো যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তবে তাদেরকে জানানোর জন্য।  

এদিকে রাজধানীর ভাটি অভয়নগরের কাটা খালে গোসল করতে গিয়ে পানির স্রোতে ভেসে গিয়েছেন এক যুবক। তাঁর খুঁজে চলছে তল্লাশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।