কলকাতা: ভারতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরের দ্বন্ধ আরও উস্কে দিলেন গায়ক ও সাংসদ কবীর সুমন।
সরাসরি রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর পাশে দাঁড়িয়েছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিজের স্বাধীকারের জায়গা থেকে করেছেন। এ ব্যাপারে কোনও ‘কালেক্টিভ ডিশিসন’-এর অভাব ছিল বলে আমি মনে করি না।
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নীতির বাইরে হেঁটে সর্বস্তরে রেলের বাড়া বাড়িয়ে জনগণের ঘাড়ে বোঝা চাপানোর এই সিদ্ধান্ত কতটা ন্যায়সঙ্গত?
এখানেও দীনেশ ত্রিবেদীর পক্ষে ‘কালের ধর্ম পালন’-এর যুক্তি তুলে ধরেছেন ‘নাগরিক কবিয়াল’।
কবীর সুমনের কথায়, সমস্ত জিনিসেরই দাম বাড়ছে। তাহলে ভারতীয় রেলের মতো এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে, যাত্রী নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে ভাড়া বাড়াতে আপত্তি থাকবে কেন?
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তেলের দাম বাড়ার কারণে যাদবপুরের তৃণমূল সমর্থিত অটো ইউনিয়নের ভাড়া বাড়ানোর উদাহরণও তুলে ধরেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে বলেছেন, সব কিছু করতে চাইলে তো বিপ্লব করতে হয়।
বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল গায়ক-সাংসদের। রেল ভাড়া বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দলের প্রবল অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনের সময় দীনেশ ত্রিবেদীর পাশে দাঁড়িয়ে কবীর সুমন সঠিক সময় মোক্ষম প্রত্যাঘাত করলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২
সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসটেন্ট আউটপুট এডিটর