কলকাতা: ফের জঙ্গলমহলে খুন সিপিএম নেতা। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারির দীপা গ্রামে সিপিএমের ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি বিমল সেনাপতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তাকে খুন করে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাই এ কাজ করেছে।
বিমল সেনাপতির ভাই নির্মল সেনাপতির দাবি, তিনি ও তার দাদা রোববার সকালে গ্রামের আখখেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন তৃণমূল সমর্থক এসে তার দাদাকে তুলে নিয়ে যায়।
বাধা দিতে গেলেও তারা শোনেনি।
পরে গ্রামবাসীরা খালে বিমলচন্দ্র সেনাপতির রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। কেশিয়ারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, গণরোষের শিকার হয়েই মৃত্যু হয়েছে বিমল সেনাপতির।
চলতি মাসের ৯ তারিখেও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দীপা গ্রাম। সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে আহত হন তৃণমূলের ৫ সমর্থক।
এ ঘটনার জেরেই এই সিপিএম নেতাকে খুন হতে হলো কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদে সিপিএম সোমবার ১২ ঘণ্টা কেশিয়ারি বন্ধের ডাক দিয়েছে।
এদিকে, খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে কেশিয়ারি থানা পুলিশ। বিমল সেনাপতির দেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১২