ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ছিটমহলে অনশনের ৪র্থ দিন চলছে

শিলিগুড়ি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২

দিনহাটা : নাগরিকত্ব ও ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার অনশনের চতুর্থ দিন চলছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকে কোচবিহার জেলার দিনহাটা শহরের সংহতি ময়দানে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্তসহ ছিটমহলের ৮ বাসিন্দা এ অনশন শুরু করেন।



অনশনের ৩য় দিনে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় মশালডাঙার ৭৩ বছরের তালেব আলিকে দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরিবর্তে বুধবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন পোয়াতুরকুঠি ছিটের কোরবান আলি (৭০)।

এছাড়াও টেপরা বর্মন পোয়াতুর ছিট, মনসুর মিঞা পোয়াতুর ছিট, হাসান আলি মশালডাঙা ছিট, বিনোদ বর্মন বাকালিচরা ছিট, মংলা সিং বাকালিচরা ছিট, সুদীপচন্দ্র দেবনাথ শিবপ্রসাদমুস্তাফি ছিট ও মোঘল শেখ মধ্যমশাল ডাঙা ছিটের অনশনে অংশ নিয়েছেন।

বুধবার অনশন মঞ্চে এসে ছিটমহল বিনিময় কমিটির দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সিপিএম। সিপিএম নেতা তারাপদ বর্মন অনশনস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সমর্থন করেন এবং তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

সমন্বয় কমিটির সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, ‘অনশনরত ছিটমহলবাসীরা প্রত্যেকের বয়স ৬৫ বছরের উপরে। এরা পরাধীন ভারতে জন্মেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এতগুলো বছরেও জানেন না তারা কোন দেশের নাগরিক।

তিনি বলেন, ‘ছিটমহল বিনিময় শুধু নয়, আসন্ন রাজ্য বাজেট শুরুর আগে রাজ্যপাল এমকে নারায়ণের ভাষণের মধ্যে ছিটমহল প্রসঙ্গ আনার দাবি, ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় চুক্তিতে রাজ্য সরকারের সম্মতি, ছিটমহল যদি রাজ্যের হয় তাহলে সরকারি পরিসেবা, সিটে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও সিটের বাসিন্দাদের জন্য হজ ও অমরনাথ যাত্রার আইনি অনুমতির দাবি জানানো হয়েছে। ’

বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমা প্রশাসক অগাস্টিন লেপচা ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি অনশন তুলে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি।

বাংলাদেশ সময় : ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২

সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর ও নজরুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।