নয়াদিল্লি : লোকসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠল ভারতের সংসদ। রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বিবৃতি দাবি করেন লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ।
তিনি জানতে চান, ‘সরকার পরিষ্কার করে জানাক, দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী হিসাবে রয়েছেন না নেই?’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘রেল বাজেট পাস হওয়ার পর সেটা এখন সংসদের সম্পত্তি। সে বিষয়ে সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুক। ’
বিরোধীদের জবাবে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র এখনও প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছায়নি। দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ’
তবে তিনি স্বীকার করে নেন, তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা ব্যানার্জির একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি সময়মতো সংসদে জানানো হবে।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ‘রেল বাজেটে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাংসদরা যেন বালখিল্যের মতো আচরণ না করেন। ’
পুরো বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলিষ্ঠ বাম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। তিনি গোটা ঘটনাটিকে ‘অভূতপূর্ব ঘটনা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দীনেশ ত্রিবেদীকে পদত্যাগপত্র দিতে বলা হয়নি। এই সরকার সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। ৫ বছর পূর্ণ করবে সরকার।
রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীও বলেন, ‘আমি এখনো ইস্তফা দেইনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যা ভালো বুঝবেন, আমি তাই করবো। দলীয় নির্দেশ আমি মান্য করবো। ’
অন্যদিকে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা অরুণ জেটলি গোটা বিষয়টিকে ‘হাস্যকর নাটক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। রাজ্যসভায়ও রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে সভাকক্ষ উত্তাল হয়ে ওঠে। পরে দুপুর ২টা পর্যন্ত সভা মুলতবি করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১২
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর