ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় উদযাপিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৯৩তম জন্মদিন

রক্তিম দাশ, ব্যুরো চিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১২
কলকাতায় উদযাপিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৯৩তম জন্মদিন

কলকাতা :কলকাতায় শনিবার গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৩তম জন্মদিন উদযাপিত হচ্ছে।

এদিন সকাল ১০টা ৩০মিনিটে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেলের ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে’ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



স্মৃতি কক্ষের বাইরে রাখা বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার তারেক মুহম্মদ আরিফুল ইসলাম। এরপর বাংলাদেশ বিমান ও কলকাতার সোনালি ব্যাংকের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তা ওমর ফারুক (বাণিজ্য সচিব), কাজী মোশতাক জহির (প্রেস সচিব), আনোয়ারুল ইসলাম (রাজনৈতিক সচিব)  প্রমুখ।

মওলানা আলহাজ শেখ আবুল হাশেম এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে  মোনাজাত পরিচালনা করেন।

ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার বলেন, ‘এই দিনটিকে আমরা জাতীয় শিশুদিবস রূপে উদযাপন করি। নতুন প্রজন্মকে তার জীবন ও আর্দশের সঙ্গে পরিচিত করার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। ’

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ থেকে ৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালীন বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন বঙ্গবন্ধু। এই সময় তিনি ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে বামফ্রন্ট সরকার ১৯৯৮ সালে তার ব্যবহৃত ২৪ নম্বর কক্ষটিসহ ২৩ নম্বর কক্ষটি সংরক্ষিত করে। ঐ বছরই ৩১ জুলাই তৎকালীন উপ-হাইকমিশনার শেখ আহমেদ জালাল ও রাজ্যের সাবেক উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী কক্ষটির উদ্বোধন করেন।

বিগত বিএনপি সরকারের আমলে এই কক্ষটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ছিলো। অবশেষে বর্তমান জোট সরকারের আমলে ২০০৯ এর ১৭ মার্চে এ কক্ষটি খুলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান সাবেক উপ-হাইকমিশনার মাসুদ মুহম্মদ খন্দকার।

এরপরই এই কক্ষ দু’টিকে ঘিরে গ্রন্থাগার ও জাদুঘরের পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ২৩ ফেব্রুয়ারি এই কক্ষের বাইরে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিন তিনি বেকার হোস্টেলের নবনির্মিত একটি ভবন বঙ্গবন্ধু নামে উদ্বোধন করেন।

এদিকে এ উপলক্ষে এদিন কলকাতা উপ-হাইকমিশনে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিয়োগিতার আয়োজন করে। এরপর পরিবেশিত হয় শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যে ৭টা ৩০মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা সভা।

এতে অংশ নেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার রায়, ভাষাবিদ পবিত্র সরকার ও কলকাতার দৈনিক সংবাদপত্র বাংলা স্টেটসম্যানের মানস ঘোষ।

কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশান (আইসিসিআর) যৌথভাবে ‌‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন এদিন শুরু হয়। ১৭ থেকে ১৯ মার্চ শহরের রবীন্দ্রনাথ টেগোর সেন্টারের বেঙ্গল গ্যালারিতে এটি চলবে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও সীমান্তের দুই পারে বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শাহবুদ্দিন মজুমদারের তোলা বিভিন্ন আলোকচিত্র’র এই প্রদর্শনীর বিকেল ৩টায় উদ্বোধন করেন সাহিত্যক সুনীল গাঙ্গুলী ও আইসিসিআরের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ভারতী রায়।

প্রর্দশনী চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।


বাংলাদেশ সময় : ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১২

আরডি
সম্পাদনা : আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।