কলকাতা: কুশবনির জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি ল্যান্ডমাইনসহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে সিআরপিএফ। গত বছরের ২৪ নভেম্বর কুশবনির জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় কিষেণজির।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে কুশবনির জঙ্গলে তল্লাশি চালান সিআরপিএফের ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়াডেল্টা ও ব্রেভো কোম্পানির জওয়ানেরা। জঙ্গলে ও মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র, বিস্ফোরক ও নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটির পোস্টার।
পাওয়া গেছে ১টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার, দুটি ফ্ল্যাশগান, ১টি একে৪৭, নাইন এমএম পিস্তলের ৩৫ রাউন্ড গুলি, ১৮টি ডিটোনেটর, ১৫০ কেজি বিস্ফোরক, ৪০ কেজি স্প্লিনন্টার। উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপও।
আকাশসহ আরও বেশকিছু মাওবাদী নেতা ও কমিটির নেতাদের চিঠি এবং একটি ডায়েরিও উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। ডায়েরিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ল্যাপটপটি কিষেণজির হতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ। তল্লাশি অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাকে বড় সাফল্য বলেই মনে করছে যৌথবাহিনী।
পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপটি সংঘর্ষে নিহত মাও-নেতা কিষেণজির। কুশবনির জঙ্গলের পাশেই বুড়িশোলের জঙ্গল। এখানেই যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল কিষেণজির।
পুলিশের ধারণা, পালানোর সময়ে মাওবাদীরা ল্যাপটপটি মাটির নিচে পুঁতে রেখে যায়।
উদ্ধার হওয়া চিঠি ও ডায়েরির বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ না খুললেও এগুলো থেকে থেকে মাওবাদীদের সম্পর্কে অনেক নয়া তথ্য মিলবে বলে মনে করছে সিআরপিএফ। ল্যাপটপটি পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১,২০১২
আরডি
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর