ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফরিদপুরে কাঁচা মরিচের দাম এক সপ্তাহেই দ্বিগুণ, কেজি ৫০০ টাকা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৪
ফরিদপুরে কাঁচা মরিচের দাম এক সপ্তাহেই দ্বিগুণ, কেজি ৫০০ টাকা 

ফরিদপুর: ফরিদপুরে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে মরিচের ক্ষেত। হঠাৎ জেলার বিভিন্ন এক সপ্তাহেই কাঁচা মরিচের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

খুচরা বাজারে ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

কৃষি অফিস বলছে, কাঁচা মরিচ চাষের এখন মৌসুম না হওয়ায় বাজারে মরিচের সরবরাহ কম। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মরিচ ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এসব কারণে বাজারে মরিচের দাম বেড়েছে।

আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম এবং আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে কাঁচা মরিচ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ফরিদপুর শহরের হাজী শরিয়ত উল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী চুন্নু মণ্ডল জানান, স্থানীয় তাম্বুলখানা পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা বাজারে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মরিচের সরবরাহ কম তাই এতো বেশি দাম বেড়েছে।  

ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, বাজারে মরিচের আমদানি তুলনামূলক অনেক কম, তাই দামও বেড়েছে অনেক। বর্তমান বাজারে পাইকারি দর কেজি প্রতি সাড়ে ৪০০ টাকা।

শহরের অম্বিকাপুর বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী মো. আবুল শেখ জানান, এক কেজি খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা দরে। সকালে আড়ত থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনে বাজারে ১২০ টাকা পোয়া করে বিক্রি করছি। অর্থাৎ কেজি ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

কাঁচা মরিচের এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দর বাড়ার বিষয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তারা জানান, এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে কাঁচা মরিচের দাম এভাবে বাড়লে আমরা সংসার চালাবো কীভাবে? কারণ, রান্না করতে তো কাঁচা মরিচ লাগবেই। এখন কাঁচা মরিচের ঝালের দামে হাঁপিয়ে উঠছি।  

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সুষ্ঠু তদারকির অভাবে দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন পণ্যের।

ক্রেতারা আরও জানান, গত সপ্তাহে মরিচের দাম কম ছিল। এক সপ্তাহেই দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এটা কীভাবে হয়! দাম বাড়বে মানে যদি সেটা দ্বিগুণ হয়, তাহলে বুঝতে হবে সিন্ডিকেটের কারণে এটা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে আগামীকাল থেকেই নিয়মিত মনিটরিং শুরু করব।  

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, এখন কাঁচা মরিচের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। এবার ফলন কম এজন্য বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহও কম। ক্ষেতে যে মরিচ আছে তা গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে বাজারে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।