ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পের মজুরি বা অন্য যে কোনো ইস্যুতে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কোনো দূরত্ব বা দ্বন্দ্ব তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধি মিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। কোনো ধরনের শ্রম অসন্তোষ যেন না হয়, সে ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে পোশাক শিল্পের চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ঢাকা, গা্জীপুর ও নারায়ণগঞ্জের ডিসি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং পোশাক কারখানা প্রতিনিধিদের মধ্যে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিজিএমইএ এর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মইন খান এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ। মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ পরিচালনায় গঠিত সহায়ক কমিটির সদস্যগণও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিজিএমইএ এর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গাজীপুরসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প কারখানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ যেভাবে ধৈর্য ও বিচক্ষণতা সহকারে কাজ করে যাচ্ছে। যেভাবে দেশে পুনর্গঠন ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চলমান হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বিজিএমইএ প্রশাসক পোশাক শিল্পসহ সব শিল্প কারখানায় সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে, বিশেষ করে পোশাক শিল্পকে ঝুট সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন প্রয়াগকারী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শিল্পাঞ্চলে কারখানার নিরাপত্তা পরিবেশ নিশ্ছিদ্র রাখতে তৎপর আছে সেনাবাহিনী। সিসিটিভির মাধ্যমে শনাক্তকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যও কারখানাগুলোর প্রতি আহ্বান করা হয়।
মেজর জেনারেল মো. মইন খান পোশাক উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, সব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিল্পের পাশে রয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বর্তমানে গাজীপুর, সাভার-আশুলিয়া, ধামরাই, নারায়ণগঞ্জ ডিএমপি এলাকায় ৯৯ শতাংশ কারখানায় পুরো উদ্যমে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার এই ক্ষণে পোশাক কারখানাগুলোতে সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশ বজায় রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সেনাবাহিনী সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় যে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। শিল্পে যেকোনো ধরনের অরাজকতা করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সভায় সব পক্ষ সুষ্ঠ শ্রম পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪ জেডএ/আরএ