ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

আন্দোলনে সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৬, জুলাই ৭, ২০২৫
আন্দোলনে সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান ঢাকা কাস্টমস হাউজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান | ছবি: জিএম মুজিবুর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থার অংশগ্রহণমূলক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময়ে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আবার কর্মকর্তাদের মাঝেও আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

এ অবস্থা থেকে গতি ফেরাতে কাস্টম হাউজ ও কর অঞ্চলগুলোতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা কাস্টমস হাউজ পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আব্দুর রহমান খান বলেন, আন্দোলন চলাকালে রাজস্ব আদায়ে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এটা নিরসনে কর্মকর্তাদের মাঝে যাওয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে দেখা করা হচ্ছে। সে জন্যই তাদের অভয় দেওয়ার জন্য আজ কর্মকর্তাদের কাছে চলে এলাম। প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তাদের যে কাজকর্ম সেগুলো যদি তারা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন, তাহলে আমি মনে করি না তাদের ভয়ের কোনো কারণ আছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ সময় কেউ কেউ বড় আকারের সীমা লঙ্ঘন করেছেন, তাদের ভিন্নভাবে দেখা হবে।

কাস্টম কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা অপরিহার্য নন, কিন্তু রাষ্ট্র অপরিহার্য। আর অপরিহার্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে হবে।

আন্দোলন পরবর্তীতে কর্মকর্তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ধরনের আতঙ্ক চলতে থাকলে রাজস্ব আহরণে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো চলতে থাকবে না। রাজস্ব বিভাগে যারা কর্মরত আছেন তারাই রাজস্ব আদায় করবেন। এটা তাদের কাজ, এত ঝামেলার মধ্যেও তারা রাজস্ব আদায় করেছেন। আপনারা যে ভয়গুলো পাচ্ছেন রাজস্ব আদায় হবে না, আতঙ্ক কাজ করছে। এগুলো কেটে যাবে।

আন্দোলনের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি সেটা পুষিয়ে আনার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এগুলো খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা ছিল সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রত্যেকে চেষ্টা করব এগুলো পুষিয়ে নিতে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে দুপুরে এনবিআর চেয়ারম্যান বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টমস হাউজ পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি চালান, ব্যাগেজ রুলস ও ডিটেনশন মেমো—তিনটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নতুন বছরে আমরা নতুন উদ্যমে কাজ করব, প্রত্যেকটি কাস্টমস হাউজ ও শুল্ক স্টেশন আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। আমি কর্মকর্তাদের বলেছি এখানে যেন ব্যবসায়ীরা বিড়ম্বনার শিকার না হন।

জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।