ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিশ্বে সুনাম কাড়ছে বাংলাদেশি পণ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
বিশ্বে সুনাম কাড়ছে বাংলাদেশি পণ্য ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

রেলপথ মন্ত্রী মু‌জিবুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে সুনাম কাড়ছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈ‌তিক উন্নয়‌ন তরা‌ন্বিত হচ্ছে। দেশীয় উৎপাদকদের এ ভূ‌মিকা প্রশংসার দা‌বি রাখে।

ঢাকা: রেলপথ মন্ত্রী মু‌জিবুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে সুনাম কাড়ছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈ‌তিক উন্নয়‌ন তরা‌ন্বিত হচ্ছে।

দেশীয় উৎপাদকদের এ ভূ‌মিকা প্রশংসার দা‌বি রাখে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘বাপা ফুড প্রো’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অ‌তি‌থির বক্তব্য রাখ‌ছিলেন মন্ত্রী।

নিজেকে কৃষকের সন্তান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃ‌ষি পণ্য উৎপাদন ও তা কাজে লা‌গিয়ে দেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন নি‌শ্চিত করতে হবে।

‌তি‌নি আরও বলেন, এ খাতের যেকোনো সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী আন্ত‌রিক রয়েছেন। প্রয়োজনে তি‌নিও প্রধানমন্ত্রীকে সমস্যাগুলো অব‌হিত করবেন।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অ‌তি‌থির বক্তব্যে তথ্য ও প্রযু‌ক্তি প্র‌তিমন্ত্রী জুনা‌ইদ আহমেদ পলক বলেন, পৃ‌থিবীর বি‌ভিন্ন দেশে অ্যাগ্রো ফুড রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতি বছর ২২৪ মি‌লিয়ন ডলার আয় করছে। বিশ্ব বাজারের চাহিদা কাজে লা‌গিয়ে সারা বিশ্বকে তাক লা‌গিয়ে দেওয়া সম্ভব।

‌অ্যাগ্রো ফুড উৎপাদকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সফটওয়্যার‌ ডেভেলপ করে উৎপাদনকারীদের তথ্য এবং ডাটাবেজ তৈরি প্রয়োজন।

প্র‌তিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ই-মার্কেট দ্রত বাড়ছে। বছরে দেশে ১ হাজার কো‌টি টাকার বে‌শি লেনদেন হচ্ছে ই-কমার্সে। তবে আরও নতুন নতুন বাজার তৈরির তাগিদ দেন মন্ত্রী।  

২০২১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে ১ বি‌লিয়ন ডলার আয় করা যাবে বলেও উল্লেখ করেন পলক।

এদিকে বসুন্ধরার চারটি হল জুড়ে চলছে ‘বাপা ফুড প্রো’। বাংলাদেশি যেসব খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিদেশে রফতানি করা হয় সেসব খাদ্য সামগ্রী ও কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ফুড প্রো’ চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ও এক্সট্রিম এক্সিবিউশন অ্যান্ড ইভেন্ট সল্যুশন লিমিটেড যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে।

মেলা ঘুরে দেখা যায় বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৫টি দেশের প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।

এছাড়া বাপা’র সদস্য ৪৭৯টি কোম্পানিও মেলায় অংশ নিয়েছে। মেলায় পণ্যের প্রদর্শনী ছাড়াও কারিগরি সেশন করা হচ্ছে। থাকছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ম্যাচিংয়ের ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬ 
এসএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।