রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসি,বি) চলমান পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট পণ্যের (গার্মেন্টটেক বাংলাদেশ-২০১৭) প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) টেক্সটাইল টুডে আয়োজিত এক সেমিনানের বক্তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, ৫০ বিলিয়ন ডলারের আয়ের ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ব্যয়ের ক্ষেত্রে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।
আগে দেখা গেছে, সাশ্রয়ী শ্রমের কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে তাদের প্রভাব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ক্রমাগত লেবার ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ আর ওই সুবিধা পাবে না। পোশাক কারখানা মালিকদের প্রাথমেই বের করতে হবে একটি পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে দাম নির্ধারণে কোন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আর তা বিবেচনা করেই দাম কমানোর জন্য কাজ করতে হবে। বর্তমানে কোনো পোশাক তৈরির মোট খরচের ৬০-৭০ ভাগই ব্যয় হয় কাপড়ে, এই ব্যয় যদি কিছুটা কমানো যায় তাহলে খরচের বড় একটা অংশ সঞ্চয় করা যাবে। এ ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাপড়ের অপচয় বন্ধ করে সার্বিক ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।
চারদিনের এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, জাপান, তাইওয়ানসহ ২৪টি দেশের ৪শ’ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা খ্যাতনামা প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণে প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে পোশাক শিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
বর্তমানে পোশাক রফতানিকারক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসই/এটি