মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিজিএমইএ ভবনের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে পোশাক শিল্পের এ পরিস্থিতির বিষয়ে তুলে ধরে এসব কথা বলেন তিনি।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই থেকে ডিসেম্বরে দেশীয় পোশাক রফতানি কমেছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশ।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে যে ৫০ বিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করতে হলে প্রতি বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হতে হবে। সেখানে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র প্লাস ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
‘পোশাক শিল্পের মালিকরা পণ্য রফতানির আয় দেশে না এনে বিদেশে রাখছেন’ এনবিআর চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যকে দুঃখজনক মন্তব্য করে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন ব্যক্তি যখন ঢালাও মন্তব্য করেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি এমন একটি শিল্প নিয়ে মন্তব্য করেছেন যা বৈদেশিক মুদ্রার ৮২ শতাংশ অর্জন করে জিডিপিতে ১৩ শতাংশ অবদান রাখছে। এছাড়া ৪৪ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।
এ শিল্পকে অর্থনীতির লাইফ লাইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি অসৎ কাজ করে থাকে তাহলে কাস্টমস ও রাজস্ব বোর্ড সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনছেন না কেন? কেনই বা তাদের মুখোশ উন্মোচন করছেন না?।
বিজিএমইএ কোনো অন্যায়কারী ও আইনভঙ্গকারীকে প্রশ্রয় দেয় না। এ খাতে যা রফতানি আমদানি হয় তার সব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও কাস্টমসের কাছে রয়েছে। যখন তাদের কাছে কোনো অনিয়ম ধরা পড়বে তখন তারা ব্যবস্থা নেবেন। বিজিএমইএ কখনই অভিযুক্তদের ব্যাপারে সুপারিশ করেনি করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এএম/ওএইচ/বিএস