ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উত্তর-পূর্ব ভারতে বিনিয়োগের সুযোগ

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
উত্তর-পূর্ব ভারতে বিনিয়োগের সুযোগ বক্তব্য রাখছেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা/ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ অর্গানিক পণ্য প্রস্তুতকারক অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা অ্যালাইড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ ও ঢাকার সিন্ধিয়া এন্টারপ্রাইজের সহযোগিতায় নর্থ-ইস্ট ফাউন্ডেশন সভার আয়োজন করে।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল রিজেন্সিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।


সভায় বক্তব্য দেন ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকারের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিষয়ক পরিচালক আইবেন স্যেয়ার, আসাম রাজ্য সরকারের পরিচালক পি কে হাজারিকা, মিজোরাম রাজ্য সরকারের  কৃষিপণ্য বিষয়ক উপ-পরিচালক এইচ ম্যান্থিঙ্গা, মনিপুর রাজ্য সরকারের টিসিএমএল পর্যটন বিভাগের ম্যানেজার ডিমিট্রি লেইসরাম, নর্থ-ইস্ট ফাউন্ডেশনের ভানু প্রতাপ সিং প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে আন্ত: আঞ্চলিক অর্থনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাণিজ্যিক অবকাঠামো ও আন্ত:আঞ্চলিক সম্পর্ককে আরও বেগবান করতে এ আয়োজন’।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের নানা সুযোগ রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে’।

‘ইতোমধ্যে আমরা বড় উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তে সিমেন্ট কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। সিমেন্টের অন্যতম উপাদান চূনাপাথর মেঘালয় থেকে আমদানি করা হচ্ছে’।

আন্ত:সীমান্ত সহযোগিতায় কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ক্ষেত্রে বিশাল সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শ্রিংলা।

তিনি বলেন, ‘কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। এ দেশের ব্যবসায়ীরা উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে ফিনিশড পণ্য রফতানি করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রাণ গ্রুপ ইতোমধ্যে ত্রিপুরায় বিনিয়োগ করেছে’।

প্রধান অতিথি ড. আবদুর রাজ্জাক নিজেদের স্বার্থে দু’দেশের কৃষি ও হর্টিকালচার পণ্য উৎপাদনকারীদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ার তাগিদ দেন। তিনি ফল ও সবজি আমদানি-রফতানির ওপর জোর দেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে মেঘালয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।