এই অবৈধ কাজের অপরাধে হারুন পাটোয়ারীকে আগামী তিন বছর দেশের বিমা শিল্পে এমডি পদে কাজের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিআরএ। পাশাপাশি এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির সব পরিচালককে ১ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়।
আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিমা আইন ২০১০ এর ৮০(১) অনুসারে, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারূপে নিয়োগ করা যাবে না। নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত ব্যক্তি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা ও বিমাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হলে ওই নিয়োগ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করবে না।
কিন্তু বিএনপি সরকারের সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান ও তার স্বজনদের অংশীদারিত্বে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রধান নির্বাহী নিয়োগের কোনো রকম অনুমোদন ছড়াই এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির এমডি নিয়োগের বিষয়ে গত মাসে আইডিআরএ’র নিয়মিত সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে প্রমাণিত হয়, কর্তৃপক্ষ গঠনের পর ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স এমডি নিয়োগের বিষয়ে বিধি মোতাবেক কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের অনুমোদন নেয়নি।
এভাবে বিমা আইন ২০১০ পরিপালন না করে, বিধি মোতাবেক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রেরিত নির্দেশ অমান্য করে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ পদেই বহাল আছেন এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ধরনের আইনের লঙ্ঘন বিমা শিল্পের স্থিতিশীলতাকে হুমকির সম্মুখীন করবে বলে এক সভায় একমত হন আইডিআরএ’র কর্মকর্তারা। আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ও তৎকালীন চার সদস্য ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এরপর শাস্তি হিসেবে হারুন পাটোয়ারীকে পরর্বতী ৩ বছরের জন্য বাংলাদেশের কোনো বিমা কোম্পানির মুখ্য হিসেবে নিয়োগ অনুমোদন না দেওয়া এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ও কর্তৃপক্ষের আগোচরে বিমা আইন, ২০১০ সহ সংশ্লিষ্ট প্রবিধানমালার ধারা লঙ্ঘন করে এমডিকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়ায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেককে বিমা আইন ২০১০ এর ১৩৪ ধারা অনুযায়ী ব্যক্তিগতভাবে ১ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, সব শর্তপূরণ করেই ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমাকে এমডি পদ থেকে অব্যাহতি দেয় আইডিআরএ। বিষয়টি নিয়ে আদালতে গিয়েছি, এখন রায়ের অপেক্ষায় আছি।
সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিতে বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ৪৬ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭৬ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ২০ শতাংশ করে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ