ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সেভেন সিস্টারে বাণিজ্য বাড়াবে নতুন স্থলবন্দর 

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
সেভেন সিস্টারে বাণিজ্য বাড়াবে নতুন স্থলবন্দর  সেভেন সিস্টারে বাণিজ্য বাড়াবে গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর। ছবি: বাংলানিউজ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: অরুণাচল, আসাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরা- এ সাত রাজ্য ভারতের সেভেন সিস্টার নামে পরিচিত। এসব রাজ্যের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। 

সরাসরি মেঘালয় হয়ে সেভেন সিস্টারে এ বাণিজ্য সম্প্রসারণে চালু হতে যাচ্ছে নতুন স্থলবন্দর গোবরাকুড়া-কড়ইতলী। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী শুল্কস্টেশন দু’টিকে একত্রিত করে এ সীমান্ত স্থলবন্দরে রুপ দেওয়া হবে।

 

স্থলবন্দরটি দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানির পাশাপাশি যাত্রীরাও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
 
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।

৬৭ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে স্থলবন্দরটির অবকাঠামো উন্নয়ন ও ঢেলে সাজানো হবে।  

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনাটির (ডিপিপি) অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি)। চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে আগামী মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপন করা হবে।  

সূত্র জানায়, ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে প্রতিবেশী দেশ দু’টির সঙ্গে স্থলপথে আমদানি-রফতানিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাড়াতে ২৩টি শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করেছে সরকার। সেগুলোর মধ্যে আছে গোবরাকুড়া-কড়ইতলীও।  

এক কিলোমিটার দূরত্বের শুল্ক স্টেশন দু’টি দিয়ে এখন স্বল্প পরিসরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হলেও রফতানির কোনো সুযোগ নেই। শুল্কবন্দরে রুপান্তরিত করে একটি স্থান থেকেই পণ্য আমদানি-রফতানি, মালামাল সংরক্ষণ ও পার্কিং সুবিধার উন্নয়ন করা হবে।  

সূত্র জানায়, স্থলবন্দরটি চালু করতে ৩১ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ১ হাজার ৫৯৮ বর্গমিটার এলাকায় ভবন নির্মিত হবে। আরও থাকছে বাউন্ডারি ওয়াল, অভ্যন্তরীণ সড়কের উন্নয়ন ও একটি ওয়্যারহাউজ। চারটি বিশ্রামাগার, পার্কিং ইয়ার্ডসহ ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। ১০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার চারটি ওয়েব্রিজ স্কেলও সংগ্রহ করা হবে। ডরমেটরি ভবনসহ থাকছে নিরাপত্তারক্ষীদের আবাসন ব্যবস্থাও।  
 
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান (পরিকল্পনা) এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন,  ‘অবকাঠামো না থাকায় গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু সম্ভব হচ্ছে না। শুল্ক স্টেশন দু’টি এখন প্রায় বন্ধই বলা চলে। সরকারও বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে’।  

‘প্রতিবেশী দেশের সেভেন সিস্টারের সঙ্গে আমদানি-রফতানি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কানেকটিভিটি স্থাপন এবং রাজস্ব আদায় বাড়াতে শুল্ক স্টেশন দু’টির অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে নতুন স্থলবন্দরে রুপ দেওয়া হবে। ফলে অর্থনীতিতে নতুন দ্বার উন্মোচনের পাশাপাশি যাতায়াত করতে পারবেন উভয় দেশের যাত্রীরাও’।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।