ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সৌদি আরবে শাখা খুলবে তিন ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৯
সৌদি আরবে শাখা খুলবে তিন ব্যাংক অনুমোদন পাওয়া ব্যাংক তিনটির লোগো

ঢাকা: সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশিদের উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর পাশাপাশি প্রবাসীদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে দেশের তিন ব্যাংক। শিগগিরই এসব ব্যাংকের শাখা থেকে রেমিটেন্স সংগ্রহ ও সৌদিতে বসবাসকারী ব্যবসায়ীদের অন্যান্য লেনদেন শুরু হবে।

সৌদি আরবে শাখা খোলার অনুমতি পেয়েছে একটি সরকারি ও দু’টি বেসরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। মুসলিম দেশের প্রচলিত রীতি-নীতি অনুসরণ করে সৌদি আরবে এসব ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।


 
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সৌদি আরবে এই তিনটি ব্যাংকের শাখা খোলার অনুমতি দিয়েছে। ব্যাংক তিনটি হলো- সরকারি মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বেসরকারি মালিকানাধী সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড।
  
সৌদি আরব মুদ্রানীতি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করার জন্য সোনালী ব্যাংক আর্ন্তজাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেছে।  
 
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা অথবা জেদ্দায় শাখা খোলার কার্যক্রম শুরু করেছে। এজন্য ব্যাংকটি শাখা খোলার কার্যক্রম দ্রুত করার লক্ষ্যে একটি আর্ন্তজাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও নিয়োগ করেছে।
 
সৌদি আরব ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে এসব শাখা খোলা যাচ্ছে বলে জানা যায়।
 
সৌদি আররে শাখা খোলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ২০১৬ সালে সৌদি আরবের বাংলাদেশ হাইকমিশন চিঠিও পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্টদের কাছে।  
 
অর্থমন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরবর্তীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকেও উদ্যোগ নিয়েছিল।

তবে দেশের ব্যাংকখাতের বিশ্লেষকরা মনে করেন, সৌদি আরবে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর শাখা খোলা অনেক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
 
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে ননব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু রেমিটেন্স সংগ্রহ করে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠায়।
 
বর্তমানে ব্যাংকগুলোও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কোম্পানির মাধ্যমে রেমিটেন্স সংগ্রহ করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হায়দার আলী মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শাখা খোলার মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির ঋণপত্র খোলা, বিনিয়োগ ও অন্যান্য ব্যবসা প্রসারিত হবে। রেমিটেন্স সংগ্রহ করা হবে প্রচলিত ধারায়। ব্যাংকের যেসব কার্যক্রম থাকে, তার সবই হবে। শুধু রেমিটেন্স সংগ্রহ করাই উদ্দেশ্য নয়।
 
বিশ্বের রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম বড় দেশে।  বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোয় সৌদি আরবও একটি বড় দেশ।
 
সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, কুয়েত, লিবিয়া, ইরাক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য রেমিটেন্স পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
 
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৯৮১ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে। এরমধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ এসেছে সৌদি আরব থেকে। ওই অর্থবছরে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এসেছে ৯ হাজার ২৩২ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার।
 
এরমধ্যে একমাত্র সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ৫৯১ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।