বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন টিপু মুনশি।
রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের সততার সাথে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজান মাসে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সংগত কোনো কারণ নেই। পণ্য পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি সরকার শক্ত হাতে দমন করবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজি বন্ধে প্রতিটি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।
চালকল মালিকদের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চালকল মালিকরা চাল রফতানির প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলেছেন, বর্তমানে দেশে চাল পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি দামও কম তাই এখন রফতানি না করলে কৃষকসহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তারা চাল রফতানি করতে চায়। আমি তাদের প্রস্তাব শুনেছি এবং তাদের বলেছি, এ বিষয়ে কৃষি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মজুদ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চিকন মিনিকেটের ডিমান্ড রয়েছে। সুগন্ধি চাল রফতানি হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সকল পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় কম রয়েছে। তবে চিনির উৎপাদন খরচ বাড়ায় কেজিতে এক টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া ছোলা, চাল, ডাল, তেল ও আলুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আলু আমাদের উৎবৃত্ত রয়েছে। যা রফতানি করা যায় কিন্তু চাহিদা না থাকায় করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ