ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ অবস্থা বজায় থাকলে আসন্ন রমজানেও ভোজ্য তেলের দাম বাড়বে না বরং কমবে। তাই অন্তত ভোজ্যতেলে স্বস্তি মিলবে সাধারণ মানুষের।
শনিবার (০৪ মে) রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে প্রতিকেজি খোলা পাম অয়েল ৫৬, সুপার ৬১ ও সয়াবিন ৭৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পাম অয়েল ৫৮, সুপার অয়েল ৬৫ এবং সয়াবিন তেল ৮২ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
কারওয়ান বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী মনে করেন, রমজানের আগেই অনেক ক্রেতা ভোজ্য তেল কিনে ফেলেছেন। আর দাম বাড়বে না। বাড়লে রমজানের আগেই বাড়তো।
একই কথা বলেন রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর মমিন বাণিজ্য বিতানের ম্যানেজার বিল্লাল হোসেনও। তার ভাষ্য, ‘অভিজ্ঞতায় বলে রোজার আগেই ভোজ্যতেলসহ নিত্য পণ্যের ওপর একটা চাপ থাকে। সেই চাপ চলে গেছে। মোটাদাগে রমজানের তেল বেচাকেনা শেষ। মনে হচ্ছে দামও আর বাড়বে না। ’
এদিকে বোতলজাত তেলের দামে ক্রেতাদের স্বস্তি দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ৫ লিটার বোতলজাত বসুন্ধরা ফর্টিফায়েড সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে ৪৪০ টাকায় কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
দামে সস্তা হওয়ায় আকর্ষণীয় বোতল ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ গুণেমানে সেরা তেলের ক্রেতা চাহিদাও বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা জানান, বাজারের অন্যান্য কোম্পানির ৫ লিটার বোতলজাত তেল কিনতে ভোক্তাদের গুণতে হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৪৯০ টাকা। আর ৫ লিটার বসুন্ধরা বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে লাগছে ৪৪০ টাকা। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
হযরত শাহ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ শপিং কমপ্লেক্সের মেসার্স তোফাজ্জল ট্রেডার্সের মালিক হাজী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সামনে সয়াবিন তেলের দাম বাড়বে না। রমজানে প্রতিটা দোকানের সামনে চার্ট থাকবে। তাই চাইলেই কেউ বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না।
তিনি বলেন, কম দামে বাজারে বসুন্ধরা ভোজ্যতেল সরবরাহ করায় ক্রেতাদের মনে স্বস্তি এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমআইএস/এমএ