মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বন্ধ শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণে সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) মহাপরিচালক শামসুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ার আনডকুমেন্টেডদের নিয়ে কী চিন্তা করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বরেন, বিদেশে গিয়ে কীভাবে আনডকুমেন্টেড বা ইলিগ্যাল হয় সেটা আমরা সবাই জানি। যারা পাঠায় আর যারা রিসিভ করে তারা সবাই এখানে জড়িত। এবারের সফরে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা বলেছে আগামী ৩১ ডিসেস্বরের মধ্যে তাদের দেশে পাঠানোর জন্য ‘ব্যাক ফর গুডস’ প্রোগ্রাম চালু করেছে।
‘এখানে একটি বিষয় আমি যোগ করতে বলেছি। রিক্রুটিং এজেন্টদের টাকা দিয়ে গেছে এটা প্রমাণ করতে পারলে তাদের পুনঃনিয়োগ দেওয়া যায় কিনা। তারা বলেছে দেখি। তারা এতে কোনো কমিটমেন্ট দেয়নি। তারা বিষযটি নোট করে রেখেছেন।
মালয়েশিয়ার বাজার খুলতে পারে, এই ঘোষণায় অর্থ লেনদেন করছে রিক্রুটিং এজেন্সিরা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীমন্ত্রী বলেন, টাকা-পয়সা লেনদেনের তথ্য আপনারা আমাদের দেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো জিরো টলারেন্স নীতিতে। ইতোমধ্যে আমরা ১৬৪টি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছি। এবছর সাড়ে তিন কোটি টাকা জনিমানা করেছি। অনিয়ম করার জন্যই এ শাস্তি দিয়েছি। এখন থেকে দেশের বাইরে যেতে হলে বাংলাদেশে রেজিস্ট্রি করতে হবে।
মালয়েশিয়ায় যেতে কত টাকা লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে হলে নতুন করে নিবন্ধিত হতে হবে। যেতে ৩/৪ লাখ টাকা লাগবে না। আমরা এখন একটি নতুন ডাটাবেজ তৈরি করছি। চাহিদাপত্র এলে আমরা ডাটাবেজ থেকে সিলেক্ট করে দিতে পারবো। এভাবে আমরা এজেন্ট বাদ দিতে চাচ্ছি। তবে নতুন ডাটাবেজ ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে একটু সময় লাগবে। এখন শুধু ঢাকা জেলাতেই চালু রয়েছে।
ইমরান আহমদ বলেন, ইসরাফিল আলম একজন সংসদ সদস্য। একজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখতে পারেন এই অধিকার তার আছে। কিন্তু অসত্য তথ্য রাখার অধিকার কারও নেই। ইসরাফিল সাহেব ৩৫ জন সিন্ডিকেটের কথা বলেছেন। এটা কোথায় পেলেন। আমি এটা জানি না। কিন্তু আমরা যারা মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলাম তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে কোনো সিন্ডিকেট বা গ্রুপিংয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি।
‘সিন্ডিকেট কোথায়। বিভিন্ন ধরেন লিংকেজের চেষ্টা করলেই সিন্ডিকেট হয় না। আমি প্রথম থেকেই বলেছি আমি কোনো সিন্ডিকেট বা অবৈধ অভিবাসনকে প্রশয় দেই না।
আপনার ওপর কোন প্রেসার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রেসার তো থাকবেই। আমার কাঁধ বড় আছে আমি এই বোঝা নিতে পারবো। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমার পাশে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
জিসিজি/এএ