জানা যায়, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের দার্জিলিং, সিকিম ও নেপালসহ বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াতের অধিক সুবিধা থাকায় বর্তমানে এ বন্দরে দেশের পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসের সর্তকতা পর্যটকদের কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
মেডিক্যাল ক্যাম্পের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানায়, এই স্বাস্থ্য ক্যাম্প চালু হলেও শুধুমাত্র পাসপোর্টধারী যাত্রীরা পরীক্ষা-নিরিক্ষার আওতায় আসছে। অথচ বন্দরে প্রতিদিন আগত কয়েক শতাধিক ভুটান, নেপাল এবং ভারতীয় গাড়ি চালক ও হেলপারা আসছে। কিন্তু তাদের কোনো প্রকার মেডিক্যাল চেকআপ হচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মেডিক্যাল টিম গঠন করায় এখন প্রতিটি যাত্রীকে মেডিক্যাল চেকআপের আওতায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ যে ক্যাম্প চালু করা হয়েছে তাতে জনবল কম থাকায় পর্যটকদের বন্দরে বসে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
মেডিক্যাল ক্যাম্পের কর্মীরা বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশে আগত প্রতিটি পাসপোর্ট এন্ট্রি করে তাদের প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো রোগী সনাক্ত হয়নি। মঙ্গলবার থেকে বুধবার (২৮, ২৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৪০০ জনের মধ্যে এ সেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল দলটি।
এদিকে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্দরে মেডিক্যাল ক্যাম্পের স্বাস্থ্যকর্মীরা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মুহাইমীন ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যেন কেউ সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে তাই স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে এবং পঞ্চগড় সিলি সার্জনের তত্ত্বাবধানে আমরা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে একটি মেডিক্যাল দল স্থাপন করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এনটি