রহনপুর রেলবন্দর এখনো পূর্ণতা না পাওয়ায় দিন দিন এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইঞ্জিন, ইয়ার্ড সংকটসহ ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা না থাকায় আমদানিকারকরা এ পথে পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে ভারতীয় পণ্যভর্তি মালবাহী ট্রেন যাত্রীদের ব্যবহার উপযোগী ১ নম্বর প্লাটফর্মে সব সময় অবস্থান করায় যাত্রীদের অবস্থানের জন্য নতুন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হলেও সেখানে সেড না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফুটওভার ব্রিজসহ নতুন প্লাটফর্মে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগতে হচ্ছে।
এছাড়াও রহনপুর রেলবন্দরের আশপাশে শত শত বিঘা জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকায় দখলদারদের দখলে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে বন্দরটি উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ না থাকায় রেল কর্তৃপক্ষ কোনো উন্নয়নমূলক কাজও করতে পারছে না। এ রেলবন্দরে ইঞ্জিন, ইয়ার্ড, ট্রানশিপমেন্ট সুবিধাসহ ওয়্যারহাউস নির্মাণ করা হলে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে আমদানিকারকরা আশা প্রকাশ করেন। বৃটিশ আমল থেকেই ভারতের সঙ্গে এ বন্দরের সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু রয়েছে।
রহনপুর আন্দোলন ফোরামের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম আশরাফ জানান, অনলাইন টিকেটিং, স্টেশনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ রাতের বেলায় রাজশাহী থেকে রহনপুর এবং রহনপুর থেকে সরাসরি ঢাকা ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবি আমরা দীর্ঘদিন থেকে করে আসছি। এছাড়া রহনপুর রেলস্টেশন চত্বর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দরে পরিণত করারও দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ সমস্যাগুলোর সমাধান করা হলে এ রেলস্টেশনটির উন্নয়নের পাশাপাশি এ রেলবন্দর থেকে রাজস্ব আয় অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
আরএ