তিনি বলেন, বর্তমানে চীন থেকে খুব কম পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এ মুহূর্তে দেশের বাইরে থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ চীন থেকে আসছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, চীনের পেঁয়াজ আমাদের দেশের মনুষ পছন্দ করে না। চীন থেকে পেঁয়াজ আমাদনি যদি বন্ধও হয়ে যায় তাহলেও পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে প্রায় দুই হাজার মেট্টিক টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ আমদানি হচ্ছে মিয়ানমার থেকে। পাকিস্তান থেকে আসছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এছাড়া তুরস্ক থেকেও আসছে, আর চীন থেকে খুব কম পরিমাণ আসছে। সুতরাং, চায়না থেকে বন্ধ হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। পেঁয়াজ আমদানির উপর নির্ভরশীল না থেকে চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
‘পেঁয়াজের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি করা সম্ভব হবে। পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এর উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিতকরণ ও পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিষয়ে সরকার চিন্তা করছে। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর দেশের চাহিদা মেটাতে ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ প্রতিবেশী ভারত থেকে আমদানি করা হতো। এবছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সমস্যা হয়েছে। পরে মিয়ানমার, মিশর, তুরস্ক, পাকিস্তান, চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে চাহিদা পূরণ করছে। এখনও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে পর্যাপ্ত রয়েছে।
‘পেঁয়াজ নিয়ে যাতে কেউ কারসাজি করতে না পারে, সে বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করি, আগামীতে এ ধরনের কোনো সমস্যা হবে না। দেশের কৃষকরা পেঁয়াজের মূল্য বেশি পাওয়ার কারণে ইতোমধ্যে উৎপাদন বাড়াতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ সমস্যা সমাধানের জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছে। একসময় গরু আমদানি করে কোরবানির ঈদের চাহিদা পূরণ করা হতো। সরকারের গৃহীত বিশেষ উদ্যোগের কারণে আজ বাংলাদেশ গরুর মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আর কোরবানির জন্য গরু আমদানি করতে হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
জিসিজি/এএ