সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আমদানি করা রসুনের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে এখন তা ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে। এদিকে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি রসুনের দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আদা-রসুনের বাড়তি দামের জন্য দায়ী চীনের করোনা ভাইরাস, দেশটি থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), কাঁঠালবাগান কাঁচা বাজার, গ্রিন রোড, হাতিরপুল বাজার, নিউ মার্কেট, পলাশী বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে আমদানি করা চায়না রসুন কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে। কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি রসুনের দাম। দেশি রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। আর নতুন রসুন (কাঁচা) বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা প্রতিকেজি।
রসুনে সঙ্গে বাড়তি রয়েছে সব ধরনের আদার দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আদার দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এসব বাজারে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, দেশি নতুন আদা ১৯০ টাকা, সিলং আদা ১৭০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের পেঁয়াজ। এসব বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, বার্মা ১১০ টাকা এবং চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
এদিকে পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি চলছে টিসিবির ট্রাকসেলে। সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন টিসিবির ট্রাকসেলে ৩৫ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত আছে।
হঠাৎ আদা-রসুনের বাড়তি দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজার আদা-রসুন ব্যবসায়ী মায়ের দোয়া বাণিজ্যলয়ের পরিচালক মো. সাগর বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আদা-রসুনের বড় অংশটা আসে চীন থেকে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দাম বাড়তি। তবে বাজারে চায়না আদা-রসুন এলে আবারও বাজার স্বাভাবিক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/