ব্যাংক তিনটি হলো- সোনালী, জনতা ও অগ্রণী।
এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে রোববার (০৯ ফেব্রয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংশ্লিষ্ঠদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
সম্প্রতি ধারাবাহিক পতনের মুখে পড়ে পুঁজিবাজার। সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং দীর্ঘমেয়াদে আস্থা ফেরাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় সরকার। এর আগে সরকারি সাত কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এরই অংশ হিসেবে নতুন করে রাষ্ট্রীয় মালিকানার তিন ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসেছে সরকার।
জানা গেছে, বৈঠকে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের শেয়ার কীভাবে আনা যায় এবং কত অংশ ছাড়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে অংশীজনসহ বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এছাড়া বর্তমানে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থার বিবরণীসহ সাম্প্রতিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার আরও ছাড়া যায় কি-না, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে লাভজন পাঁচটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। বৈঠকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুইটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আরও বেশি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ওইদিন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দরকার। এখানে যারা আছে তারা বিক্ষিপ্তভাবে আছে। লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারি ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
জিসিজি/জেডএস