সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে সফররত কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচ ই মি. ডোভিড মারিটের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কানাডা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার।
তিনি বলেন, কানাডা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। কানাডা চাইলে বাংলাদেশ একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত। অনেক দেশ ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কানাডায় পড়ালেখা করছে। কানাডা চাইলে কৃষিভিত্তিক উন্নত মানের বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে গড়ে তুলতে পারে। যেকোনো বিনিয়োগে সরকার সবধরনের সহযোগিতা দেবে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে। কানাডা থেকে পণ্য আমদানি করে তা প্রক্রিয়াজাত করে অন্য দেশে রপ্তানি করা সম্ভব। উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়াতে কানাডার ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা দিতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্ভাবনা কানাডার ব্যবসায়ীদের জানাতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন তৎপরতার কারণে ইতোমধ্যে কানাডার ব্যবসায়ী বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে।
এইচ ই মি. ডোভিড মারিট বলেন, কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। কৃষিসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো সম্ভব। কানাডা বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য দু’টি এমওউ স্বাক্ষর করছে। বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। কানাডায় প্রচুর ক্যালোনা উৎপাদন হয়। ক্যালোনা তেল বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ এগুলো আমদানি করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারে।
এইচ ই মি. ডোভিড মারিরের সঙ্গে সফরসঙ্গী ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার রিক বার্টন, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইন, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার কাউন্সিলর (কমার্শিয়াল) মিস করিনি পেট্রিসোরসহ অন্য কর্মকর্তারা।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজমও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
জিসিজি/আরবি/