বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনার ফুলতলা স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সাবেক সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শ্রমিক নেতা হাফিজুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করে জেলা ও মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি।
মেনন বলেন, এখন পাট শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন-ভাতা না দিয়ে হতাশ করে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে পাটকলগুলোকে ফের ব্যক্তিমালিকানায় তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। শুধু পাটকল শ্রমিক নয়, গোটা দেশের মানুষকে এ ষড়যন্ত্র রুখতে হবে।
ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে শ্রমিক নেতা হাফিজুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে রাশেদ খান মেনন বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের ক্রান্তিকাল চলছে। মালিকরা সুযোগ নিচ্ছে। এ সময়ে কমরেড হাফিজুর রহমানের খুব প্রয়োজন ছিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব্বোচ ডিগ্রি নিয়েও শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করেছেন। পদন্নোতি বা কোনো প্রলোভনে পা দেননি।
খুলনা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য শিক্ষাবিদ ড. সুশান্ত দাস, অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য দিপংকর সাহা দীপু, মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী মোল্লা, নগর সাধারণ সম্পাদক ফারুক উল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সন্দীপন রায়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দব্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের মূল্য পাচ্ছে না। অথচ বাজারে সবকিছুর মূল্যই লাগামহীনভাবে বাড়ছে। মধ্যসত্ত্বভোগী সিন্ডিকেটের যাতাকলে কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। মানুষ সরকারের ওপর আর আস্থা রাখতে পারছে না। তাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে সরকারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
স্মরণসভার শুরুতে গণশিল্পীর শিল্পীরা গণসংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া প্রয়াত নেতার স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/