সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব আবুল বাশার মুহাম্মদ আমীরউদ্দিনের সই করা এক চিঠিতে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন ব্যাংককে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা অনুযায়ী স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল তথা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ ৫ বছর মেয়াদে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
এ জন্য ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদানের মাধ্যমে এ তহবিলের বৈধতার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তারপরও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ভবিষ্য তহবিলের টিআইএন বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের টিআইএন দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনেছে। জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর পর অনেক সঞ্চয়পত্র ইস্যুকারী আউটলেট ভবিষ্য তহবিলের টিআইএন না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের টিআইএন দিয়ে সঞ্চয়পত্র ইস্যু করে।
বিষয়টি কর্মসূচি কার্যালয়ের নজরে এলে সঞ্চয়পত্র ইস্যুকারী আউটলেটকে ভবিষ্যৎ তহবিলে টিআইএন দিয়ে সঞ্চয়পত্র ইস্যুর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ পরামর্শে ইতোমধ্যে পূবালী ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা যারা প্রতিষ্ঠানের টিআইএন দিয়ে স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের নামে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছে, তারা ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের টিআইএন ব্যবহার করে পুনরায় সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেছে।
এদিকে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের অভিযোগপত্রে দেখা যায়, জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ ভবিষ্যত তহবিল টিআইএন ব্যবহার না করে প্রতিষ্ঠানের টিআইএন দিয়ে স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের বিপরীতে সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের টিআইএন ব্যবহার করে যে সব ভবিষ্য তহবিলের নামে সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ তহবিলের কিছু সংখ্যক টিআইএন কর কমিশনের কাছে হতে সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানের টিআইএন নম্বর পরিবর্তন করে স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের টিআইএন নম্বর প্রতিস্থাপনের ব্র্যাক ব্যাংক হতে আবেদন করা হয়েছে।
এ অবস্থায়, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমে ভবিষ্য তহবিলের অর্থ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের অন্য কোনো অর্থ যাতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না হয় তা প্রতিরোধে স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের টিআইএন এর অনুকূলে জাতীয় সঞ্চয়পত্র ইস্যু করার বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের পত্রের পরবর্তি নির্ধারণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
জিসিজি/এমএ