বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনের ‘ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-ইফসি’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ দুশ্চিন্তার কথা জানান তিনি।
চীন থেকে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, বিজিএমই'র এমন শঙ্কা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটি গভীর সমস্যা, হঠাৎ করে এ বিষয়ে বলা মুশকিল।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, বিকল্প বাজার পেয়ে যাব, যদিও সেজন্য সময় দরকার। যে কাঁচামাল আনতে হয় সেটি অন্য কোথাও থেকে পেতে হলে তো সময় দিতে হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে করোনা ভাইরাসের প্রভাব কি পরিমাণ পড়েছে সে ব্যাপারে খুব সম্ভবত ১৬ তারিখে আমরা একটি রিপোর্ট পাবো। পাশাপাশি আমরা লক্ষ্য রাখছি ফ্যাক্টরিগুলোর সরবরাহের দিকটি। আজ খবর পেলাম চীনের বাজার খুলতে শুরু করেছে। আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছি।
'রসুনের দাম অনেক বেড়ে গেছে, এছাড়া চীন থেকে অনেক ইলেকট্রনিক্স পণ্য আসে' এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমাণ রসুন প্রয়োজন তার ৯০ শতাংশ চীন থেকে আসে। রসুনের ব্যাপার এক ধরনের, আবার অন্য কাঁচামাল ইলেকট্রনিক্স পণ্যের উপর যদি প্রভাব পড়তে শুরু করে সেটা অন্য রকমের ভাবনার বিষয়। আমরা চেষ্টা করবো বিকল্প বাজার থেকে রসুন সংগ্রহ করতে। তবে কাঁচামাল আনার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা হবে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনই আমাদের বলার সময় আসেনি, দেখি বড় ধরনের বিপদ আসে কিনা।
রসুনের দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বাজার মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। বাজার মূল্যের তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। কেউ যদি নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে চীন কাজ করছে, এক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব চীনা নাগরিক বাংলাদেশে আসছে আমরা তাদেরকে দেখছি, তাদেরকে ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত যারা এসেছেন তাদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
পিএম/এবি