বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নাজিয়া সালমা কনফারেন্স হলে ‘ইফেকটিভ পার্টনারশিপ উইথ মিডিয়া ফর সাসটেনেবল গ্রাজ্যুয়েশন’ শীর্ষক কর্মশালায় সচিব একথা বলেন।
তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বেড়েছে।
‘শর্তগুলো হলো- ১. মাথাপিছু আয় ১২৪২ মার্কিন ডলার; বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার মার্কিন ডলার। ২. দেশের ৬৬ শতাংশ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়া; বাংলাদেশ এটি ৭০ শতাংশে উন্নীত করেছে। ৩. অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর না হওয়ার মাত্রা ৩০ শতাংশের নিচে থাকা; বাংলাদেশে তা ২৫ শতাংশ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দেশ এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা জরুরি। যেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আছে। ’
তিনি বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে জাতিসংঘের ইকোনমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
সচিব বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করতে হবে। সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এই দেশ সবার। সবার উচিত সরকার প্রধানকে সহযোগিতা করা। পাইপ লাইনে অনেক টাকা আছে। এটা উন্নয়নের জন্য ভালো। বৈদেশিক সহায়তা কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে।
ইআরডি সচিব হিসেবে শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মনোয়ার আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে যেখানে বৈদেশিক সহায়তা ৩ বিলিয়ন ডলার ছিল, বর্তমানে তা ৭ বিলিয়ন ডলার ক্রস করেছে। সবাইকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এমনভাবে রিপোর্ট করতে হবে যেন দেশের মুখ দেশে-বিদেশে উজ্জ্বল হয়।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (ডিজেএফবি) এর জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করে ইআরডি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম, ইআরডির যুগ্ম সচিব আব্দুল বাকি, ডিজেএফবি’ৎর সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এমআইএস/এএ