অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের অধীন চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম (আইডিটিপি) সার্ভিস নেওয়া হবে।
ওরিয়ন ইনফরম্যাটিকস লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ লিমিটেড, ফিনটেক সল্যুউশন লিমিটেড ও সেইন ভেঞ্চারারস লিমিটেড (জেভি) এসব কিনতে অনুমোদন পেয়েছে।
অর্থমন্ত্রী মনে করেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সেবা প্রদান অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে লেনদেনের একটি সেতুবন্ধন তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আইডিটিপি।
আইডিটিপি বাস্তবায়িত হলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে, যা কাগজের মুদ্রাবিহীন সমাজ গঠনে সহায়তা, অর্থ জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নসহ নানাবিধ আর্থিক অপরাধ রোধে ভূমিকা রাখবে বলে জানায় অর্থ মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে ই-জিপি সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শক সেবা ক্রয়ে চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এতে ৮৫ কোটি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ৩৫১ টাকা ব্যয় হবে। যৌথভাবে পরার্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পেয়েছে ভারতের জিএসএস ইনফোটেক লিমিটেড ও বাংলাদেশের নমিচেডপ সাব-কনসালটেন্ট দোহাটেক নিউ মিডিয়া।
‘মোংলা বন্দরের জন্য অত্যবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম সংগ্রহ’ প্রকল্পের আওতায় ১৪ সারির কন্টেইনারবাহী গিয়ারল্যাস জাহাজ হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য তিনটি মোবাইল হারবার ক্রেন ও এর আনুষঙ্গিক মালামাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে ম্যাক্সন পাওয়ার লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৫ টাকা।
একই প্রকল্পের আওতায় আরেকটি লটে ১০ মিটার ওয়ার্কিং রেডিয়াসে ৫০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি টায়ার মাউন্টেড মাল্টি পারপাস ক্রেন কিনতে ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ২০১ টাকা। এক্ষেত্রেও দরদাতা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে ম্যাক্সন পাওয়ার লিমিটেড।
মোংলা বন্দরের জন্য আরেকটি লটে ৫ মিটার ওয়ার্কিং রেডিয়াসে ৩০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি মোবাইল ক্রেন ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজও পেয়েছে ম্যাক্সন পাওয়ার লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ৭১০ টাকা।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন ‘ডেভেলপমেন্ট অব শ্যাওলা ল্যান্ডপোর্ট’ এর পূর্ত কাজের জন্য দুটি দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে নিয়োগ পেয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় এই কাজ পেয়েছে এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও মেসার্স অনিক ট্রেডিং কর্পোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এমআইএইচ/জেডএস