রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্প্রতি বিমা উন্নয়ন কর্মকর্তা পদ বিলুপ্ত করে কমিশন এজেন্ট করে আদেশ জারি করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
কল্যাণ পরিষদের নেতারা বলেন, দেশের ৪৫টি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ১৩৭০টি শাখায় প্রায় লক্ষাধিক বিমা উন্নয়ন কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। যারা বছরে চার হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। এই পেশায় কেউ কেউ ২৫/৩০ বছর ধরে কর্মরত। তবে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখে আইডিআরিএ যে সার্কুলার জারি করেছে তাতে কর্মীদের হতাশ করেছে। সার্কুলারটি গেজেট আকারে পাশ হলে বীমা সেক্টরে চরম হতাশা ও নৈরাজ্য তৈরি হবে।
তারা বলেন, এই সার্কুলার বাস্তবায়ন হলে জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় কিংবা ঢাকা শহরে কর্মরত বিমা উন্নয়ন কর্মকর্তাদের আর পূর্বের পরিচয় থাকবে না। তাদের মাসিক কোনো বেতন হবে না, তারা এখন থেকে কমিশন হিসেবে টাকা পাবেন। তাদের পলিসি যতো বিক্রি হবে তারা সেখান থেকে কমিশন পাবেন।
এ সময় এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রভাতী ইন্সুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোখলেচুর রহমান খান, ইসলামী ইন্সুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা ডিউক, প্রভাতী ইন্সুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক, মেঘনা ইন্সুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্ষুদিরাম সমাদ্দার, এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান হাবীব, ইউনিয়ন ইন্সুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেজবাহ উদ্দিন শফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
ইএআর/এমএ