শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা সদর হাজিরহাট মাছ বাজার ছিল ইলিশের দখলে। ব্যাপক বিক্রিতে বাজার ছিল সরগরম।
হাজিরহাটে এক কেজি দুইশ গ্রাম ওজনের প্রতি ইলিশ বিক্রি হয়েছে এক হাজার থেকে এক হাজার ১শ টাকায়। তিনদিন আগে ওই সাইজের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ছয়শ ৫০ থেকে সাতশ টাকায়। এক হালি (দুই কেজি ছয়শ গ্রাম ) বিক্রি হয়েছে এক হাজার সাতশ টাকায়। দুইদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা।
রোববার (০১ মার্চ) সকালে জেলার রামগতি রায়পুর কমলনগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় হাট বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে না। হাটে নদীর কোনো মাছ নেই। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, রুই, কাতলসহ চাষের মাছ বিক্রি হচ্ছে।
বছরের মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনায় জাটকাসহ দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের বিচরণ থাকে। সবচাইতে বেশি বিচরণ থাকে জাটকার। আর এ কারণে মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময় বাজারে নদীর মাছ মিলবে না; তাই শেষ মুহূর্তে ইলিশের হাটে ছিল ভিড়।
হাজিরহাট বাজারের ঢেউটিন ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন রাসেল জানান, দুই মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে যে কারণে ইলিশ কিনে রাখছেন। এদিকে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে দুই মাস লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হাটে-ঘাটে, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক সভা করেছে মৎস্য বিভাগ।
আরও পড়ুন>>>মেঘনায় দুই মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা
মেঘনা নদীর চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা বন্ধ। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
এসআর/এএটি