বুধবার (০৪ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ইয়াএল আর মিলারের নেতৃত্বে ছয় সদস্য প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দামতো এখনও কমেনি।
তিনি বলেন, এবছর অনেক এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন করা হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজে আমাদের যে প্রযুক্তি আছে তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নতুন জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছি। যা মাঠ পর্যায়ে চাষাবাদ হলে সমস্যা থাকবে না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে বারবার ধানের কথা বলেছি। এখন যেমন ধানে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, ইনশাল্লাহ পেঁয়াজেও আমরা নতুন জাত দিয়ে উৎপাদন দ্বিগুণ না হলেও কাছাকাছি হবে।
তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধান হবে কিনা জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তাৎক্ষণিক সমস্যাতো সমাধান হয়েই যাবে, ১৫ থেকে ২০ দিন পর বাজারে পেঁয়াজ নামলে তখন দামও কমে যাবে। তখন আবার চাষিরা দাম পাবে না। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার গত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছিল আমরা কি করছি। আমরা জানিয়েছি চাষিদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পেয়েছি, উৎপাদন যথেষ্ঠ বেড়েছে। আশা করছি পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যা হবে না।
এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কি নির্দেশনা দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকে জানানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে। যদি আমাদের ভালো পেঁয়াজ ওঠে, তাহলে চাষিদের স্বার্থটা দেখবো।
কোন মাস থেকে পেঁয়াজ তোলা শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমাসের শেষ দিকে অর্থ্যাৎ ১৫ থেকে ২০ দিন পরে। তখন আমরা দেখবো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলো কিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
জিসিজি/জেডএস