ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২ হাজার কোটি টাকায় সম্প্রসারিত হচ্ছে ওসমানী বিমানবন্দর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
২ হাজার কোটি টাকায় সম্প্রসারিত হচ্ছে ওসমানী বিমানবন্দর

ঢাকা: সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণসহ তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আর এসবে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৩৬৪ কোটি ১৪ লাখ ১৫৫০ টাকা। এরমধ্যে শুধু সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজেই ব্যয় হবে দুই হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বুধবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এসময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (১ম পর্যায়) প্রকল্পের পূর্তকাজসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে দুইটি প্রতিষ্ঠান রেসপনসিভ হয়। কারিগরিভাবে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপ লিমেটেডকে (বিইউসিজে) দুই হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকায় ঠিকাদার নিয়োগে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

চীনে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে এ সম্প্রসারণ কাজে বিলম্বিত হবে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে এর কাজ শুরু করতেও কমপক্ষে ছয় মাস লেগে যাবে। তাই বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা নেই।

জানা গেছে, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট থেকে সরাসরি লন্ডনে ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করেন। গত দুই দশকে এ বিমানবন্দরের যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বেড়েছে।

ওসমানী বিমানবন্দরকে আধুনিক সুপরিসর প্লেন তথা বোয়িং-৭৭৭ ধরনের প্লেন চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য রানওয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ সংক্রান্ত অপর একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো, আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে প্যাকেজ-০৩ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব।

এরমধ্যে প্রতি মেট্রিক টন গম ২৬৫ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলার হিসেবে দ্বিতীয় প্রস্তাবে মোট ব্যয় হবে ১১২ কোটি ৭২ লাখ এক হাজার ৫৫০ টাকা। আর ১৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।