মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে বন্দরটি বন্ধ রয়েছে। তবে বুধবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় সচল হবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
এদিকে, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ওপারের বন্দরেও প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ শতাধিক আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে অধিকাংশ শিল্প কারখানার কাঁচামাল ও খাদ্যদ্রব।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বাংলানিউজকে বলেন, মুজিববর্ষ পালনে ছুটি ঘোষণায় বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও পণ্য খালাসে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক দুই বন্দরের মধ্যে প্রবেশ করেনি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে ১৮ মার্চ সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ,রফতানি বাণিজ্য সচল হবে। বন্ধের মধ্যে যাতে বন্দরে কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সচল রয়েছে। ভারত থেকে স্বাভাবিকভাবেই ফিরছেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় চার/পাঁচ শতাধিক ট্রাক ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল বন্দর থেকে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য নিয়ে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। একদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলে প্রায় ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে সরকার। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্প কারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, সরঞ্জাম সামগ্রী, কেমিক্যাল পণ্য ও খাদ্যদ্রব উল্লেখ্য যোগ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব, তৈরি পোশাক ও মাছ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এসআরএস