বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশের ঘরে ঘরে ওয়ালটন পণ্য রয়েছে। এ কোম্পানি দেশের সম্পদ।
এদিকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি আজাদ আহসান বাচ্চু বলেন, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের যে ব্যবসায়িক পরিধি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি কোম্পানিটি যদি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো লভ্যাংশ দিতে পারে তাহলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা যদি বাজারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে তাহলে অন্য আরও কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে।
বিনিয়োগকারীদের আরেকটি সংগঠন পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, প্রায় এক দশক আগে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোন পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয়েছিল। এরপর আরেকটি ভালো কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে ওয়ালটন। শেয়ার বাজারের জন্য এটা অত্যন্ত ইতিবাচক হবে। ওয়ালটন আইপিওকে ঘিরে এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ওয়ালটন একটি স্বনামধন্য এবং ফান্ডামেন্টাল বা মৌলভিত্তি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। তাদের পণ্য দেশের জনগণের কাছে অনেক সমাদৃত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন বিডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে শুনে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক উৎফুল্ল ও আনন্দিত।
জানা গেছে, প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে ওই টাকা ব্যয় করা হবে। ইতোমধ্যে ওয়ালটনের শক্তিশালী আর্থিক প্রতিবেদনের নিরিখে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বিডিংয়ে কোম্পানিটির কাটঅফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৩১৫ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
পিআর/আরবি/