ঢাকা: ‘আগের বাড়তি দামে আলু কেনা আছে আড়তে। এ অবস্থায় কেজিতে ২ টাকা লোকসান দিয়ে আলু বিক্রি করছি।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলানিউজের কাছে এ কথা বলেন কারওয়ান বাজারের এক নম্বর আড়তের মালিক ও পাইকার আলু ব্যবসায়ী মো. হানিফ।
বর্তমানে কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি পাইকারি রাজশাহীর আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, বিক্রমপুর আলু ৪১ টাকায় ও লাল আলু ৪০ টাকায়। আর ছোট-বড় একত্র করে আলুর দাম চাওয়া হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা।
একদিন আগে রাজশাহী ও রংপুরের আলু বিক্রি হয়েছিল ৪৬ টাকা, বিক্রমপুর আলু ৪৫ টাকা ও লাল আলু বিক্রি ৪৩ টাকা কেজি দরে।
পাইকার আলু ব্যবসায়ী মো. হানিফ বলেন, ‘রাজশাহী ও রংপুরের আলু খরচসহ আড়তে এসেছে ৪৪ টাকায়, বিক্রমপুর ৪৩ টাকায়, আর লাল আলু ৪২ টাকায় এসেছে। এসব আলু আমরা ২ টাকা লোকসান দিয়ে বিক্রি করছি। এরপরও আমরা আতঙ্কিত কখন ম্যাজিস্ট্রেট এসে জরিমানা করে দেয়। শুধু ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এ লোকসান গুনতে হচ্ছে। ’
অপর ব্যবসায়ী আহম্মদ বলেন, ‘সরকার নির্ধারণ করেছে ২৫ টাকা কিন্তু সেই দামের আলু কেনো আসছে না সেটা দেখা প্রয়োজন। আমরা আরও কম দামে বিক্রি করতে পারবো তবে আমাদের কম দামে দিতে হবে। নাহলে আমরা কোথায় পাবো, কীভাবে বিক্রি করবো। ’
বুধবার (১৪ অক্টোবর) প্রতি কেজি আলুর দাম হিমাগারে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি নিশ্চিত করতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।
একই সঙ্গে উল্লেখিত দামে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে আলু বিক্রি করেন সেজন্য কঠোর মরিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ডিসিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে কৃষি বিপণন অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় ১ দশমিক ৯ কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ দশমিক ৯ লাখ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায়, গত বছর উৎপাদিত মোট আলু থেকে প্রায় ৩১ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন আলু বেশি থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রপ্তানি হলেও ঘাটতির আশঙ্কা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
ইএআর/এফএম