ঢাকা: ২০তম দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) জাতীয় পুরস্কার পেলো ২৩ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। মোট ১৩টি ক্যাটাগরিতে এসব পুরস্কার দেওয়া হয়।
এবারের আয়োজনে ‘ওভারঅল উইনার’ হিসেবে নির্বাচিত হয় আইডিএলসি ফাইন্যান্সিং লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ঘোষণা করে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন, আইডিএলসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এবারের আয়োজনে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক প্রতিবেদন জমা পড়ে বলে আয়োজক সূত্রে জানা যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনার মাঝেও আমাদের ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যদিও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮। সেটি অর্জন করতে না পারলেও এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বাধিক। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের প্রয়োজন। অ্যাকাউন্ট্যান্ট পেশাকে দেশে-বিদেশে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। দক্ষ ও সৎ অ্যাকাউন্ট্যান্ট আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন।
আইসিএবি-এর সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক বলেন, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ অডিট রিপোর্ট মানসম্পন্ন না। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে শীর্ষ চারটি অডিট ফার্মের জমা দেওয়া রিপোর্টের ২৫ শতাংশের মানই সন্তোষজনক নয়। এর অর্থ হচ্ছে, আমাদের এই রিপোর্ট তৈরিতে আরও আন্তরিক এবং দক্ষ হতে হবে। নইলে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অনেক সুযোগ থেকে যায়।
এবারের আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে মেরিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
অন্যান্যের মাঝে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন, ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া, আইডিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এসএইচএস/এমজেএফ