ঢাকা: করোনাকালে তরুণ সমাজকে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি দক্ষ জনবল হিসেবে তৈরি করতে সরকারকে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বক্তারা বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ও গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের দ্বিতীয় সভা ‘কর্মসৃজন ও গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবন’ শীর্ষক সিরিজ মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এ পরামর্শ দেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
সভায় কি-নোট উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। প্যানেল আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট (এফবিসিসিআই) শেখ ফজলে ফাহিম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
সিপিডির সিনিয়র ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনাকালে গ্রামীণ অর্থনীতি বিশেষ করে কৃষি আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু সরকারের প্রণোদনার ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষক, প্রান্তিক উদ্যোক্তা সবচেয়ে পিছিয়ে। তাদের হাতে টাকা পৌঁছানো না গেলে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে। জিডিপি আসবে কোথা থেকে।
‘এজন্য কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন করতে আমাদের তরুণ সাজকে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্তের পাশাপাশি দক্ষ জনবল হিসেবে তৈরি করতে সরকারকে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। ’
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, কোভিড-১৯ মূলত শহরের অর্থনীতিতে সমস্যা বাড়িয়েছে। করোনাকালীন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রামীণ রূপান্তরমূলক অর্থনীতির সুবিধা পেতে হলে এদেশকে বাজার ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামো উন্নয়ন যেসব হয়েছে তা সংযুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনাকালীন সরকারকে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে অর্থায়ন করতে হবে। বেসরকারি খাত এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, করোনাকালীন সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ সময়োপযোগী হলেও এতে বড় উদ্যাক্তাদের ভাগ বেশি। ক্ষুদ্র উদ্যাক্তাদের ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে অনিহা প্রকাশ করায় মূলধন হারিয়ে ব্যবসা নতুন করে শুরু করতে পারছেন না অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩,২০২০
জিসিজি/এএ