ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাগুরায় স্বাদু পানিতে ব্যাগ পদ্ধতিতে মুক্তা চাষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
মাগুরায় স্বাদু পানিতে ব্যাগ পদ্ধতিতে মুক্তা চাষ ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: মাগুরায় ব্যাগ পদ্ধতিতে স্বাদু পানিতে শুরু হয়েছে মুক্তা চাষ। মাগুরা সদর জেলার রামনগর কেষ্টপুর গ্রামে তিন একর জমি নিয়ে ছয়টি স্বাদু পানির পুকুরে মাছের সঙ্গে ঝিনুকের চাষ শুরু করেছেন আবুল হোসেন খান।

 

শুরুটা ইউটিউব দেখে হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের অভিজ্ঞদের পরামর্শে এ খামার গড়ে তুলেছেন তিনি।

ঝিনুক পুকুর থেকে সংগ্রহ করে এতে প্রবেশ করানো হয় ইমেজ। পুকুরের স্বাদু পানিতে পরিপূর্ণভাবে মুক্তা হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ মাস। ২৫ হাজার ঝিনুকের মধ্যে ১ লাখ মুক্তা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তা আবুল হোসেন।


 
তবে মুক্তাচাষিরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দেশের উৎপাদিত মুক্তা দেশে বা বিদেশে রপ্তানি করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ।
 
চাষিরা বলেন, অতি অল্প খরচে মাছের সঙ্গে সম্মন্বিতভাবে স্বাদু পানিতে মুক্তার চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে অনেক বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
 
মুক্তা চাষের উদ্যোক্তা আবুল হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মহামারিতে বেশি সময় বাড়িতে থাকতে হয়েছে। এ সময় ইউটিউব একটু বেশি দেখা হয়। একদিন ইউনিউবে দেখি একটা মেয়ে ঝিনুকের মধ্যে মুক্তা চাষ করছেন। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমি পটুয়াখালীর একজন উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর আমার তিন একর জায়গায় মধ্যে ছয়টি পুকুরে মাছের সঙ্গে সম্মন্বিতভাবে ঝিনুকের মধ্যে ব্যাগ পদ্ধতিতে মুক্ত চাষ শুরু করি।
 

ঝিনুক ও মাছ পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত গোলাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সপ্তাহে দু’বার ঝিনুক ও মাছে খাবার দেই। খাবারের মধ্যে রয়েছে গোবর, সরিষার খৈল, টিএসপি উইরিয়া। এতে মাছের যে খাবার প্রয়োজন হয় ঝিনুকের সেই একই খাবার লাগে। পাশাপাশি বাড়তি আয় হিসাবে মুক্ত পাওয়া যায়। খরচ কম অধিক লাভ রয়েছে এই চাষে।
 
কেষ্টপুর গ্রামের সুমন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমি শুনেছি এখানে ব্যাগ পদ্ধতিতে ঝিনুকের মধ্যে মুক্তার চাষ হচ্ছে। আমি দেখতে এসেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমি আমার পুকুরেও মুক্তার চাষ শুরু করবো। অল্প খরচে এই মুক্তার চাষ করা সম্ভব।
 
মাগুরা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস কমকর্তা শরীফ হাসান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া মুক্তা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। পুকুর নদী হাওড়-বাওড়ে ভরা এ দেশে মুক্তা চাষ সম্প্রসারণ করা হলে বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি চাঙা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি। আমাদের মৎস অফিসের পক্ষ থেকে মুক্তাচাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।