ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিজিটাল প্রতারণায় ব্যবস্থা নিতে সংশোধন হচ্ছে আইন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
ডিজিটাল প্রতারণায় ব্যবস্থা নিতে সংশোধন হচ্ছে আইন

ঢাকা: বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, ইকমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাব থাকলেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইকমার্স বন্ধ করা যাবে না। তবে ডিজিটাল প্রতারণায় ব্যবস্থা নিতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যসচিব বলেন, আজকের বৈঠকে কেউ কেউ ইকমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ইকমার্স বন্ধ করা যাবে না। ১০টি বা ১৫টি খারাপ কোম্পানির জন্য সব ইকমার্স প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া যায় না। ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে লাখ লাখ উদ্যোক্তা এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের জীবিকা খুঁজে পেয়েছেন, সেটি বন্ধ করা ঠিক হবে না।  

ইকমার্স পরিচালনার জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনের ক্ষেত্রে কোনো কোনো সদস্য বলেছেন কিছু সমস্যা আছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, এই দু’টি আইনের অধীনে যেন ডিজিটাল প্রতারণা হলে বিচার করা যায়, সেজন্য আইনের সামান্য সংশোধন করতে হবে। এ বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। আর সব ইকমার্স প্রতিষ্ঠানকেই নিবন্ধন নিতে হবে, একটি ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা করা যাবে না। এগুলোই মোটাদাগে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাণিজ্যসচিব বলেন, ইকমার্স ব্যবসাকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার জন্য ইকমার্স রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে। ইকমার্স পরিচালনার জন্য কোনো আইন নেই, নীতিমালার আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং একটি ডিজিটাল কমার্স আইন করতে হবে। আরেকটি বিষয় এসেছে, অভিযোগ আসছে সেগুলো ভোক্তা অধিকার, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্নভাবে মোকাবিলা করছেন। কিন্তু সব কমপ্লেইন মনিটরিংয়ের জন্য কোনো সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এখনও আমরা করতে পারিনি, এটা করতে হবে। যাতে কমপ্লেইনগুলো মনিটরিং করা যায় এবং মামলা-মোকাদ্দমার আগেই সেগুলোর ফয়সালা করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২,২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।