ঢাকা: বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান ও বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান শামস মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার পারস্পরিক বাণিজ্য সম্ভাবনা উন্মোচন করতে দেশ দুটির মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার উপায়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া কীভাবে পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের উন্নয়নে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে সে বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া পরস্পরের অকৃত্রিম বন্ধু ও অংশীদার। এভাবেই দেশ দুটি নিজেদের দেখতে হবে এবং একসঙ্গে সমৃদ্ধশালী হওয়ার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর উপায়গুলো চিহ্নিত করার জন্য সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। বাংলাদেশের পোশাকখাতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, বিশেষ করে উচ্চ মূল্যের নন-কটন পোশাক পণ্য এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের ওপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার টেক্সটাইল খাত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ম্যান-মেইড ফাইবারের চাহিদা পূরণ করতে পারে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারে। এটি উভয় দেশের জন্য উইন উইন (লাভজনক) পরিস্থিতি তৈরি করবে।
এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি রাষ্ট্রদূত এবং ইন্দোনেশিয়ার পোশাক ও টেক্সটাইল ব্যবসায়ীদের আসন্ন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ এ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
বিজিএমইএ বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে তুলে ধরতে এবং শিল্পের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে এ বছর ঢাকায় বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর মেগা ইভেন্টটির আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
এমকে/আরবি
