ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অতি উৎসাহিত হয়ে ডিমের দাম নির্ধারণের কথা বলেছিলাম: বাণিজ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
অতি উৎসাহিত হয়ে ডিমের দাম নির্ধারণের কথা বলেছিলাম: বাণিজ্যমন্ত্রী ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: অতি উৎসাহিত হয়ে ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম ঠিক করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অবশ্য ভারত থেকে ডিম আমদানি করা যায় কিনা সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ওভারসীজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব)-এর সঙ্গে ‘মিট দ্য প্রেস’ এ তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সঞ্চালনায় ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার ও ওকাব নেতা ফরিদ হোসেন এতে উপস্থিত ছিলেন।  

ভারত থেকে ডিম আমদানির কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির বিষয়ে গত কয়েক দিনে প্রেক্ষাপট কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ইতিবাচক হলে আমরা ডিম আমদানির ব্যবস্থা করতে পারি সেটা বলেছিলাম। কিন্তু দামদরের ব্যাপারে যেটা আমাদের মন্ত্রণালয় বলেছিলো নির্ধারন করে দেবে। কিন্তু সম্প্রতি আমাদেরকে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ক্ষমতা কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া আছে।  

তিনি বলেন, যদিও আমি অতি উৎসাহিত হয়ে বলেছিলাম ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম আমরা ঠিক করে দেবো। বিশেষ করে তেল, চিনিসহ কিছু পণ্যের দাম আমরা ঠিক করি। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে সে প্রাইসিং (মূল্য নির্ধারণ) করে দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আমি মনে করি ডিমের যদি দাম কমতে না থাকে সেক্ষেত্রে প্রাইসিং করে দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করে আমি দিতে পারি।  

মন্ত্রী বলেন, আমাদের এটাও চিন্তা করতে হয়, যারা আমাদের দেশে উৎপাদন করছে তাদের কি ক্ষতি হয়। এ বিষয় মাথায় রেখে আমাদের একটা সিদ্ধান্তে যেতে হবে। ভোক্তাদের কি দামে খাওয়াবো, উদ্যোক্তারা কি দাম পাবে, দেশের উৎপাদন পরিস্থিতি কি, এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে যদি দাম কমানো যায় কমানো হবে। এসব বিষয় নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, সয়াবিন তেলের দাম অনেক দিন ধরেই আমরা নির্ধারণ করে দেই। সেক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে যে সেটা আপনারা চালিয়ে যান। ভারত থেকে আমদানি করা যায় কিনা সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ সপ্তাহেই বসবো৷ ভারতে থেকে অনেক পণ্য আমদানি করা হয়। যেমন দেশে যখন পেঁয়াজের দাম ২০০/৩০০ টাকা হলো তখন আমরা কিন্তু বিমানে করেও পেঁয়াজ আমদানি করেছি। ভারত থেকে যদি আমরা ফুল সুইং পেঁয়াজ আমদানি করি। তখন দেশের উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  

টিপু মুনশি বলেন, ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তোমরা যে হঠাৎ করে রফতানি বন্ধ করে দাও এটা ঠিক না। অন্তত এক মাস আগে আমাদের নোটিশ দিয়ে জানানো উচিৎ। এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। শেষ কথা হচ্ছে আমাদের ভোক্তা ও উৎপাদক সবাইকে দেখতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।

সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছিলেন ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেবেন, এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত- জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, দাম যেটা করা হবে সেটা সারা বছরের জন্য নয়। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিমাসে দাম বাড়ানো-কমানো হবে। এই কাজটি ট্যারিফ কমিশন করবে টাইম টু টাইম। তারা দাম নির্ধারণ করলেই আমাদের ভোক্তা অধিকার দিয়ে বাজার মনিটরিং করা হবে। আমরা সয়াবিন তেলের দাম কতোবার উঠালাম নামালাম এসব খেলা চলছে আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭,২০২২
জিসিজি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।